ওমরা পালনের নিয়ম

ওমরা পালনের নিয়ম :

১। সূচনা : সকল প্রশংসা পরম করুনাময় আল্লাহর। মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন, আশরাফুল মাখলুকাত বা সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে । আর পথ প্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন শ্রেষ্ঠ নবী ও আল্লাহর প্রিয় বন্ধু হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে এবং তার মাধ্যমে পবিত্র কোরআন-উল-মাজিদ নাযিল করেছেন । পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাঅয়ালা সামর্থনুযায়ী মানুষকে হজ্জ্ব এবং ওমরাহ্‌ পালনের কথা উল্লেখ করেছেন। কারো পক্ষে একাধিকবার এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একবার হজ্জ্ব বা ওমরাহ্‌ পালন সম্ভব হয় । আর তাই আল্লাহ্‌ তাঅয়ালা যে সকল ভাগ্যবানকে এ সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের যাতে এ মহান লক্ষ্যে সফল ও সার্থক হয় তার জন্য ওমরাহ্‌ পালনের পদ্ধতি বা নির্দেশনা নিম্নে উপস্থাপন করা হল।

২।       ধারাবাহিকতা ।

ক।      ইহরাম বাঁধা ।

খ।       কাবা শরীফ তাওয়াফ করা (৭ বার চক্বর পূর্ণ করা) ।

গ।       মাকামে ইব্রাহীমের পিছনে  ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করা ।

ঘ।       যমযম কুপের পানি পান করা ।

ঙ।       সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে ৭ বার সায়ী করা।

চ।       মাথা মুন্ডানো বা চুল ছাঁটা ।

কার্যপ্রনালী :

৩।      ইহরাম বাঁধা ।

ক।      ইহরাম বাঁধার পূর্বে নিম্নেবর্ণিত কাজগুলো সমাধা করতে হবেঃ

        (১)      প্রয়োজনীয় ক্ষৌর কাজ সম্পন্ন করা ।

        (২)     ওজু বা গোসল করা (গোসল করা উওম)।

        (৩)     ইহরামের কাপড় পরিধান করা ।

        (৪)      আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা।

খ।ইহরাম বাঁধার নিয়ম:
 বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকদের ইহরাম (পুরুষদের জন্য ২টি সাদা চাদর এবং মহিলাদের পছন্দমত) বাঁধার জন্য আলাদা আলাদা স্থান নির্ধারিত আছে। বাংলাদেশীদের জন্য মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধার নিয়ম। ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম নিষেধ। সেজন্য বাংলাদেশী হাজীরা সাধারণতঃ হাজী ক্যাম্প হতে ইহরাম বেধে আসেন। জেদ্দা বিমান বন্দরের বাহির গেটের সামনে মসজিদ আছে সেখানে ইহরাম বাধার জন্য গোসলসহ সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে (গোসল এবং অজু করার স্থান মসজিদের আন্ডার গ্রাউন্ডে) ।

গ। ইহরামের ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়া :
 ইহরামের কাপড় পরিধান করে ২ রাকাত ইহরামের সুন্নত নামাজ আদায় করা। নিয়তঃ (হে আল্লাহ্‌, আমি ইহরামের ২ রাকাত সুন্নাত নামাজের নিয়ত করিলাম)।

ঘ।ওমরাহ এর নিয়ত করা :
 নামাজের পরপরই জায়নামাজে বসেই ওমরাহ এর নিয়ত করা ভাল। নিয়ত- (হে আল্লাহ, আমি ওমরাহ্‌ করার জন্য নিয়ত করিলাম। ইহা তুমি আমার জন্য সহজ করে দাও এবং কবুল কর অথবা লাব্বাইকা ওমরাহ্‌‌)।

ঙ।তালাবিয়া পাঠ করা:
 নিয়ত করার পরপরই  তালাবিয়া  পাঠ করা  (তালাবিয়াহ -লাব্বায়িক আল্লাহুমা লাব্বায়িক, লাব্বায়িক লা-শারীকা লাকা লাব্বায়িক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি মাতা লাকা ওয়াল মুল্‌ক, লা-শারীকা লাক্‌) অর্থঃ  আমি হাজির, হে আল্লাহ্‌ আমি হাজির, কোন শরীক নেই তোমার, আমি হাজির। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই, আর সকল সাম্রাজ্য তোমার, তোমার কোন শরীক নাই । নিয়ত করার পর থেকেই তাওয়াফ আরম্ভ করার পূর্ব পর্যন্ত বেশি বেশি তালাবিয়া পাঠ করা।

৪।কাবা শরীফ তাওয়াফ করা (৭ বার ঘুর্নন করা):

ক।      কাবা শরীফের চতুর দিকে ৭ বার ঘুর্নন করতে হয়।     কাবা শরীফের চর্তুরদিকের তাওয়াফ করার স্থানকে মাতাফ বলে। পুরুষদের জন্য তাওয়াফ করার পূর্বে-গায়ের চাদর খানার মধ্যভাগ ডান বগলের নীচ দিয়ে চাদরের দুই কিনারা বাম কাঁধের উপর ফেলতে হয় ইহাকে ইজতিবা বলে। তাওয়াফের নিয়ম নিম্নরুপঃ

(১)      তাওয়াফের নিয়ত (নিয়ত করা ফরজ): 
হে আল্লাহ্‌, আমি পবিত্র ঘর কাবা শরীফ তাওয়াফ করার নিয়ত করিলাম তুমি আমার জন্য এ কাজ সহজ করে দাও এবং কবুল কর।

নিয়ত করার সাথে সাথে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে ইশারা করে হাত উঠিয়ে পডুনঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর  ওয়া লিল্লাহিল হামদ। পরে হাত নামিয়ে তাওয়াফ শুরু করতে হবে (তাওয়াফের সময় কাবা শরীফ হাতের বাম দিকে থাকবে)।

কালো পাথর কাবা শরীফের দক্ষিন-পূর্ব কোণে স্থাপিত। হাজরে আসওয়াদের কোণ এবং সাফা পাহাড়ের দিকে হারাম শরীফের দেয়ালে যে সবুজ রঙ্গের টিউব লাইট জ্বালানো আছে এ দুইটির মধ্যে যে কাল্পনিক রেখা সৃষ্টি হয় সে রেখার উপর দাড়িয়ে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে তাওয়াফের নিয়ত করতে হয়। 

(২) রমল: তাওয়াফের প্রথম ৩ চক্করে কাঁধ হেলিয়ে  দুলিয়ে বীরের ন্যয় দ্রুত পদে তাওয়াফ করাকে রমল বলে। নিয়ত করার পর রমল ও ইজতিবা সহ আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করা।

খ।তাওয়াফের সময় সম্মুখ দিকে তাকিয়ে তাওয়াফ করতে হবে- কাবা শরীফের দিকে তাকিয়ে তাওয়াফ করা নিষেধ। তাওয়াফের নিদিষ্ট কোন দোয়া নেই। তবে ঐ সময় দোয়া কবুল হয় তাই-মাতৃভাষায় মন খুলে যে কোন দোয়া করা উওম।

গ।রোকনে ইয়ামানী :
  কাবা শরীফের দক্ষিন পশ্চিম কোণকে রোক্‌নে ইয়ামানী বলে। রোকনে ইয়ামানী হতে হাজরে আসওয়াদের কর্নার পর্যন্ত প্রত্যেক চক্বরে এ দোয়া পড়ুনঃ- রব্বানা-আ-তিনা ফিদদুনিয়া হাছানাতাঁও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়াকিনা আযা-বাননার।

ঘ।       এ দোয়া পড়তে পড়তে হাজরে আসওয়াদের কোণা পর্যন্ত পৌছালেই এক চক্কর-শেষ হয়। বাকী চক্করের শুরুতেই হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে দাড়িয়ে দু-হাত অথবা ডান হাত উঠিয়ে ইশ্‌রা করবেন। ইশারার পর বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবর বলে চক্কর শুরু করতে হবে এক্ষেত্রে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই। এমনিভাবে ০৭ চক্কর শেষ করে হাজরে আসওয়াদের দিকে দুহাত অথবা শুধু ইশারা করে তাওয়াফ শেষ করতে হবে।

ঙ। হাতীম কাবা শরীফের অংশ বিধায় বাহিরের দিক দিয়ে তাওয়াফ করা, হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামানীর বিপরীত কোনদ্বয়ের সাথে হাতীমের অবস্থান। হাতীমের ভিতরে নামাজ, দোয়া দুরুদ ইত্যাদি পাঠ করে দোয়া করলে এ স্থানে দোয়া আল্লাহর নিকট অনেক বেশি গুরুত্ব পায়।

বিঃদ্রঃ  তাওয়াফের নিয়ত করা ফরজ, হাজরে আসওয়াদের কর্নার থেকে তাওয়াফ শুরু করা, কাবার দিকে না তাকিয়ে তাওয়াফ করতে হয়, মাকামে ইব্রাহীমের উভয় দিক দিয়ে তাওয়াফ করা যায়, কাবার চও্বর দিয়ে মসজিদুল হারামের ভিতর দিয়ে, দোতালা দিয়ে এবং দোতালার ছাঁদ দিয়ে তাওয়াফ করা যায়, তাওয়াফ করার সময় কাবার কালো গিলাফে হাত-বুক লাগানো নিষেধ, তাওয়াফে নিদিষ্ট দোয়া নেই, অতিরিক্ত নফল ওমরার চেয়ে তাওয়াফ করায় সওয়াব বেশি ।

৫। মাকামে ইব্রাহীমের পেছনে ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় ।  তাওয়াফ শেষ করার পর মাকামে ইব্রাহীমের পিছনে ২ রাকাত ওয়াজিবুত তাওয়াফ নামাজ  নিয়ত (হে আল্লাহ্‌, আমি দু-রাকাত  ওয়াজিবুত তাওয়াফ নামাজ আদায় করিলাম) আদায় করতে হবে। নামাজের ১ম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা কাফেরুন এবং ২য় রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা এখলাস পাঠ করা মুস্তাহাব। তবে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য যে কোন সুরা মিলিয়ে উভয় রাকাতে সালাত আদায় করা যাবে। এ নামাজ মাকামে ইব্রাহীমের যত নিকটে পড়া যায় ততই উত্তম। মসজিদুল হারামের ভেতরে যে কোন স্থানে এ নামাজ আদায় করা যাবে। নামাজ শেষে সেখানে বসে বা দাড়িয়ে বা সুবিধামত স্থানে দোয়া পড়া ও মুনাজাত করা যাবে।

৬। যমযম কূপের পানি পান করা:      
মাকামে ইব্রাহীমের পিছনে নামাজ ও দোয়া শেষ করে বিলম্ব না করে সাফা পাহাড়ের দিকে গিয়ে যমযমের পানি পান করতে হবে। বিছমিল্লাহি ওয়ালিল্লাহিল হামদ বলে ৩ চুমুকে পানি পান করুন।  পানি দিয়ে মুখ ধোয়া, মাথা ধোয়াও ওজু করা যায়। পানি পান করার আগে ও পরে দোয়া পড়ুন (হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে কল্যান, উন্নতি, জীবিকা এবং সকল অসুস্থ্যতা থেকে পরিত্রাণ চাই)। পানি পান করে সাফা-মারওয়া পাহাড় সায়ী করার উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে। কাবা শরীফ হতে দক্ষিন-পূর্ব কোণের দিকে ৭০/৮০ গজ দুরে সাফা পাহাড় অবস্থিত।

৭।       সাফা-মারওয়া পাহাড় সায়ী করা ( সাফা ও মারওয়া পাহাডের মধ্যবর্তী স্থানে ৭ চক্বর পূর্ণ করা)।

ক।   সাফা এবং মারওয়া হচ্ছে আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে অন্যতম। সাফা পাহাড়ের নিকটে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে দাড়ানো (মসজিদুল হারামের পিলারের ফাঁক দিয়ে কালো গিলাফ চোখে পড়ে)। কালো গিলাফে চোখ পড়লে তারপর নিয়ত করুন। নিয়ত করুন-হে আল্লাহ সাফা-মারওয়ার মাঝে ৭ বার সায়ী করার নিয়ত করলাম। তুমি আমার জন্য কাজটি সহজ করে দাও এবং কবুল কর।

নিয়ত শেষে ৩ বার আল্লাহ্‌র হামদ ও ছানা উচ্চ স্বরে পড়ুনঃ

আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর ওলিল্লাহিল হামদ এরপর পড়ুন -সুবহানা ল্লাহি ওয়াল হামদু লিলাহি লা-ইল্লাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াল্লাহু আকবার। ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যল আজীম।

এরপর কয়েকবার দুরুদ শরীফ পাঠ করে দোয়া ও মুনাজাত করে সাফা হতে মারওয়ার দিকে অগ্রসর হতে হবে। কিছুদুর যাওয়ার পরই সবুজ রঙ্গের বাতি দিয়ে চিহ্নিত স্থান টুকু মধ্যম গতিতে দৌড়ে অতিক্রম করতে হবে এবং এ দোয়া পড়তে হবে ( রাব্বিগ ফির ওয়ার হাম ওয়া আনতা আ-আয়যুল আকরাম) এরপর স্বাভাবিক গতিতে দুআ দরুদ পড়তে পড়তে মারওয়া পাহাড়ে পৌছাঁলে একটি সায়ী সমাপ্ত হবে। এভাবে ০৭ বার সায়ী করতে হবে।

খ।   পুনরায় মারওয়া পাহাড় হতে কাবা শরীফের দিকে মূখ করে যদি কাবা শরীফ দেখা না যায়, তবে ফ্লোরে নামাজের জন্য যে দাগ দেয়া আছে, তা থেকে কাবার দিক নির্ণয় করে নিয়ত ব্যতীত পূর্বের ন্যয় দোয়া, মুনাজাত, তাকবীর ছানা ইত্যাদি পাঠ করে সায়ী শেষ করতে হবে।

গ। সপ্তম সায়ী শেষ করে মারওয়া পাহাড়ে বসে বা দাড়িয়ে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে মন খুলে দোয়া ও মুনাজাত করে সায়ী শেষ করতে হবে।

৮। মাথা মুন্ডন করা: সায়ী শেষ হলে মাথা মন্ডন করতে হবে। ইহরাম অবস্থায় চুল উঠানো, নক কাটা ইত্যাদি নিষেধ।

অতপরঃ মাথা মুন্ডনের পর একটি ওমরাহ সমাপ্ত।

নোটঃ  কেহ যদি ২য় বার ওমরাহ করতে চায় তাহলে তাকে আয়েশা মসজিদে গিয়ে পূনরায় নতুন করে ওমরাহ্‌ ইহরাম বেঁধে ২য় বার ওমরাহ্‌ শুরু করতে হবে।

৯।মদীনায় করণীয়:

ক।মক্কা হতে মদিনার দুরত্ব ৪০০ কিঃমিঃ এর উপরে। মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করা এবং দোআ ও দুরুদ পাঠ করা । দোজাহানের শান্তির প্রতীক সবুজ গমবুজ নজরে পড়া মাত্র দোয়া পড়তে হবে।  মসজিদে নববীতে প্রবেশ, রওজা শরীফের সামনে হাজির হয়েও দোয়া পড়তে হবে, নবীজির রওজা পাকে সালাম দিতে হবে। মদীনা মুনাওয়ারায় জিয়ারতের মুবারক স্থান সমুহঃ

(১)মসজিদে নববীঃ  হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)এর রওজা শরীফ। তার সাথে হযরত আবু বককর (রাঃ) এবং হযরত উমর (রাঃ) এর মাজার।

(২)মসজিদে নববীর অভ্যন্তরে রিয়াদুল জান্নাহ ।    সাদা রঙের উপর প্রিন্ট করা কার্পেট বিছানো রিয়াদুল জান্নাতের স্থানটুকুতে হযরত বিল্লাল (রাঃ) এর আযানের স্থান আছে। এখানে দু- রাকাত নামায যেন জান্নাতে নামাজ পড়ার সমতুল্য।

(৩) আসহাবে সুফফা, জান্নাতুল বাকী করবস্থান জিয়ারত,মসজিদে কুবা = ২রাকাত নামাজ আদায় করলে ১টি ওমরাহ এর সওয়াব পাওয়া যায়, উহুদ যুদ্ধের ময়দান, কবরস্থান ও উহুদ পাহাড়, মসজিদে াজুঞ্চমা, মসজিদে গামামাহ, মসজিদে কিবলাতাঈন, খন্দকের যুদ্ধের ময়দান এবং     সেখানকার ৫টি মসজিদ।

১০। উপসংহার :
হজ্জ্ব পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের একটি মহান দায়িত্ব এবং এটি ইসলামের অন্যতম এবাদত। ইসলামের যাবতীয় এবাদত সার্থক এবং আল্লাহর নিকট কবুল হওয়ার জন্যে যে শর্তগুলোকে অনিবার্যভাবে পূরণ করতে হয় তার প্রথম হচ্ছে নিয়ত ও সংকল্পকে বিশুদ্ধ করা এবং দ্বিতীয়ত এবাদত আদায়ে রাসুল (সাঃ) সুন্নত ও নির্দেশনা অনুসরন করা। তাই পবিত্র হজ্জ্বব্রত বা ওমরাহ্‌ পালনের পূর্বে এ বিষয়গুলোতে আমাদের যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।  ইনশাআল্লাহ তাহলে আমাদের এবাদত সফল ও সার্থক হবে।

Popular posts from this blog

ভূটান_ট্যুর (৫ রাত / ৪ দিন)

সূরা ইখলাস, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সূরা ইখলাস এক-তৃতীয়াংশ কুরআনের সমান

১৬ বছর আগে যখন মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক বানানো শুরু করছিলেন